
দিনাজপুরে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম অনুষ্ঠিত
এম. আর. মিজান, দিনাজপুর: প্রোটিন শরীরের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের অভাবের পাশাপাশি আছে সচেতনতার অভাব। প্রোটিনসমৃদ্ধ নানা খাবার, যেমন- পোলট্রি মুরগির ডিম ও ব্রয়লার মাংস নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। এগুলো দূর করা প্রয়োজন। সুস্থ-সবল জাতি গঠনে প্রাণিজ প্রোটিন সম্পর্কিত জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম, দুধ ও মাংস দিতে হবে। পোলট্রি শিল্প বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। গতকাল বুধবার দিনাজপুর সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘সুস্থ যদি থাকতে চান সব বয়সে বয়লারের মাংস ও ডিম খান’ শীর্ষক স্কুল ফিডিং কার্যক্রম (ডিম)
অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কার্যক্রমে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেটেরিনারি অফিসার কৃষিবিদ ডা: আসিকা আকবর তৃষা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম কিবরিয়া, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ সারোয়ার হোসেন, সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, এলজিডিপি প্রজেক্ট মনিটরিং অফিসার মোঃ রাজিব মোল্লা প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, ডিম একটি সম্পন্ন খাদ্য। পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা উৎপাদনে সমস্ত পুষ্টি ডিমের মধ্যে রয়েছে। একটি ৫০ গ্রাম ডিমে আমিষের পরিমাণ ৬.১৭ গ্রাম। যার মধ্যে সকল অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিড পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। ডিমের মধ্যে প্রায় ৪.৯৮ গ্রাম চর্বি থাকে। বেশির ভাগ চর্বি হচ্ছে উপকারিতা ভিটামিন। ১১ ধরনের খনিজ পদার্থ ডিমের মধ্যে পাওয়া যায়। ডিমের মধ্যে বিদ্যমান কোলিন বাচ্চাদের বুদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করে। পাশাপাশি মহিলাদের ব্রেষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধক গবেষণায় দেখা গেছে। দৈনিক ২ টি করে ডিম খেলে দেহে বয়সের ছাপ পড়ে না এবং যারা অজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন একটি করে ডিম খান। কারন ডিমে ক্যালরী কম থাকার কারণে ক্ষুধা কম লাগে। শিশু, গর্ভবতী, বৃদ্ধ সকল শ্রেণি মানুষের জন্য ডিম খাওয়া খুব জরুরি। তাই সবাই খাদ্য তালিকায় ডিমকে অন্তর্ভুক্ত করি।