
ওএমএসের চাল পেতে, দীর্ঘ লাইন
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
* ক্রেতারা ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ওএমএস চালের জন্য দীর্ঘ লাইন দাড়িয়ে থাকেন।
* দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থেকেও অনেকে চাল না পেয়ে, খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি চলে যায়।
* বরাদ্দ কম, চাহিদা বেশি। বরাদ্দ বাড়ানোর দাবী উপকারভোগীদের।
দিনাজপুরের বিরামপুরে ওএমএসের চাল পেতে দীর্ঘ লাইন এবং ওএমএসের চাল বিতরণে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পৌর শহরে প্রতিদিন ভোর থেকে চালের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল না পেয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা।
দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিলাররা বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ কম, বরাদ্দ বাড়ানো হলে আরও অধিক সংখ্যক মানুষ স্বল্প মূল্যে চাল কেনার সুবিধা পাবে।
বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পৌর শহর এলাকায় ওএমএসের (খোলা বাজারে বিক্রি) ডিলারদের সামনে চাল ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন।
শহরের ঢাকা মোড়ে চাল কিনতে আসা ইসলামপাড়া মহল্লার মেরিনা বেগম বলেন, ভোর থেকে চাল ক্রয়ের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। শিরিনা বেগমের মত দীর্ঘ লাইনে থাকা আরও অনেকে বলেন, তারাও চাল কেনার জন্য ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। শহরের তিনটি ওএমএস ডিলারের দোকানের সামনে একই চিত্র দেখা গেছে।
ওএমএস ডিলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিদিন ১ মেট্রিক টন করে চাল ৩০ টাকা কেজি দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। চালের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে আরও অধিক সংখ্যক মানুষ স্বল্প মূল্যের চাল কেনার সুবিধা পাবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম মওলা বলেন, পৌর শহরে তিনটি ডিলারের মাধ্যমে ডিলার প্রতি প্রতিদিন এক টন করে চাল খোলা বাজারে বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে আগামী মাস থেকে চালের পাশা পাশি খোলা বাজারে গমের আটা বিক্রি শুরু হবে।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘খোলা বাজারে চাল বিক্রিতে ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদার বিষয়টি তিনিও অবগত হয়েছেন। ক্রেতারা যাতে চাহিদা মতো চাল-আটা কিনতে পারেন সেজন্য ডিলারদের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’