
মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর ॥
দিনাজপুর চেম্বারের নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকায় ২জন মৃত ব্যক্তির, ১০জন অন্যের টিন নং ব্যবহার করে এবং ৮১ জনে আয়কর অফিসের সাথে টিন নাম্বার মিল না থাকার পরেও খসড়া ভোটার তালিকায় নাম প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
চেম্বার নির্বাচনের ভোটার মোঃ নূরুল মঈন মিনু, আলহাজ¦ মোঃ রেজাউল করিম, সাইদুর রহমান পাটয়ারী মোহন, মোঃ মামুনুর রশিদ, মোঃ এরশাদ আলী খান, মোঃ মাহামুদুর রহমান, মঞ্জুর মুর্শেদ সুমন, মানবেন্দ্র দাস মনোজ, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মোঃ রুবেল ইসলাম, ইসলাম উদ্দীন আহম্মেদ রাজু, তায়েফ বিন শরীফ, বেগম সুলতানা রাজিয়া জুঁই, স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন পাঠ করতে গিয়ে দিনাজপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি নূরুল মঈন মিনু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের আদেশে এবার দিনাজপুরে চেম্বারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয়কে প্রশাসক নিয়োগ করেছেন।
গত ২৮শে ডিসেম্বর তিনি তফসীল ঘোষনা করেছেন এবং ১৮ই মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসীল মোতাবেক ২১৯৮ জন ভোটার সমন্বয়ে গত ২৬ জানুয়ারী ২৩ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। গত নির্বাচনে দেখা যায় চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা ছিল ২৬০২জন। ভূয়া ভোটার থাকায় প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় ৫০৪জন ভোটারের নাম বাদ হয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, এবারের খসড়া ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র প্রাক্তন সভাপতি সুজাউর রব চৌধুরী গত নির্বাচনে ভোটার তালিকায় ৮৭৯৪২৩৪৪১২০৬ টিন নম্বর দিয়ে ভোটার হয়েছিলেন। বর্ণিত টিন নম্বরটি আয়কর অফিস এবং অনলাইন ভেরিফিকেশন থেকে দেখা যায় প্রকৃত আয়কর দাতার নাম নূর মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। এভাবে যাচাই করলে দেখা যায় ১০জন অন্যের টিন ব্যবহার করে ভোটার হয়েছেন। বিষয়টি অনিয়ম অনৈতিক। বিষয়টি অবহিত করে চেয়ারম্যান, আপীল বোর্ড নির্বাচন ২০২৩-২০২৫ এর তফসীর মোতাবেক আপত্তি দাখিল করা হয়েছে। এমনকি ২জন মৃত ব্যক্তির নামেও নবায়ন ফি জমা দিয়ে ভোটার করা হয়েছে।
খসড়া ভোটার তালিকায় ৮১ জনের আয়কর অফিসের ভেরিফিকেশন বা ২০২১-২০২২ আয়কর অফিসের রিটার্ন দাখিলের তথ্য পরীক্ষাকালীন সময়ে দেখা যায় টিন নম্বর সঠিক নয় বা টিন নাম্বারের সাথে তাদের নামের কোনো মিল নেই। গত ২রা ফেব্রুয়ারী তারিখের মধ্যে আপত্তি দাখিলের সময় নির্ধারণ ছিল কিন্তু বর্ণিত ভোটারগণ কোনো প্রকার সংশোধনীর জন্য আপত্তি দাখিল করেন নাই। আমাদের আপত্তি দাখিলের কারণে তারা নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং ভোটারের কাছে বিষয়টি অসংবিধানিক ভাবে উপস্থাপন করে চলছেন।