Dinajpur News Time
রবিবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্রিকেট
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. জেলার খবর
  13. তথ্যপ্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. ধর্ম

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে প্রসূতির পেটে তোয়ালা রেখে সেলাই

প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ৮, ২০২৩ ৮:১১ অপরাহ্ণ

একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলের জন্ম দেন মুক্তা বেগম (২৫)। সাত দিনের মাথায় ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি। কিন্তু পেটে ব্যথা অনুভব করছিলেন। ফের হাসপাতালে ভর্তির পর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসক দেখেন পেটে কিছু একটা আছে। এরপর অস্ত্রোপচারের পর তার পেট থেকে ছোট একটি তোয়ালে অপসারণ করা হয়।

ঘটনাটি দিনাজপুরের রানীরবন্দর পলিটেক ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে গত ৩০ নভেম্বর ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন ।

দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট রবিউল আলম।

অভিযোগের বিষয়ে রবিউল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। রানীরবন্দর পলিটেক ক্লিনিকের নিবন্ধন না থাকায় নাম বদলে ‘রানীরবন্দর ক্লিনিক’ নামে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসূতি মুক্তা বেগম পার্শ্ববর্তী খানসামা উপজেলার মারগাঁও গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী। গত ২৩ ডিসেম্বর পেটে যন্ত্রণা নিয়ে দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে তোয়ালে অপসারণ করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক দুজনই শঙ্কামুক্ত।

ভুক্তভোগী মুক্তা বেগম বলেন, ‘৩০ নভেম্বর রানীরবন্দর পলিটেক ক্লিনিকে আমার সিজার হয়। কয়েক দিন পর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ক্লিনিকে যোগাযোগ করলে তারা ওষুধ লিখে দেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। পরে দিনাজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হই। সেখানে আবার অপারেশন হয়। ডাক্তার পেটের ভেতর থেকে কাপড় বের করেছেন। কী যে যন্ত্রণা!’

দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মুক্তা বেগমের পেট থেকে তোয়ালে অপসারণ করেছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা হাত মোছার কাজে ছোট আকৃতির তোয়ালে ব্যবহার করেন। চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় বলা হয় ‘মাব’।অস্ত্রোপচারের সময় মাবগুলো গুনে নেন নার্সরা। অসাবধানবশত হয়তো সেলাই করার সময় পেটের ভেতর একটি মাব ছিল। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে পেটে ময়লার মতো কিছু একটা দেখতে পাওয়া যায়। পরে অস্ত্রোপচার করে সেটি অপসারণ করা হয়। বর্তমানে ওই প্রসূতি শঙ্কামুক্ত।’

রানীরবন্দর ক্লিনিকটি পরিচালনা করছেন রেজা ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। ক্লিনিকের নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পলিটেক ক্লিনিকের অনুমোদন নেই। পরে নাম পরিবর্তন করে ‘রানীরবন্দর ক্লিনিক’ নামে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।’

সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, ‘রানীরবন্দরের ওই ক্লিনিকের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। তবে অজ্ঞাত কারণে তারা লিখিত অভিযোগ করেননি। রানীরবন্দর পলিটেক ক্লিনিকের নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে রানীরবন্দর ক্লিনিক নামে নতুন করে নিবন্ধন নিয়ে তারা আবার কার্যক্রম শুরু করেছেন। ওই প্রসূতি মায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই অনুমোদনহীন ক্লিনিকগুলোতে অভিযান চালানো হবে।’

সর্বশেষ - সর্বশেষ

আপনার জন্য নির্বাচিত