
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে এটাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।
তাতে বলা হয়, মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ (৫৩) দীর্ঘদিন ধরে অসৎ চরিতার্থের নিমিত্তে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন। পাঠদানের অজুহাতে ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখানো ও যৌন হয়রানি করেন তিনি। এসব অপকর্মের কথা অভিভাবকদের জানাতে চাইলে বেত্রাঘাত ও পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার হুমকি দেন ওই সহকারী শিক্ষক।
অভিভাবকেরা বলছেন, শ্লীলতাহানির ঘটনা ছাত্রীদের মাধ্যমে জানতে পারলে ২৩ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে মৌখিক ভাবে জানিয়ে বিচার দাবি করেন তাঁরা। এতে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তাঁরা ইউএনও ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন।
এক ছাত্রীর অভিভাবক মাসুম ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রমজীবী মানুষ বাচ্চাকে স্কুলে রেখে কাজে যাই। কিন্তু শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ না থাকায় আমরা হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে হেয় করার জন্য গুটিকয়েক কয়েক অভিভাবক এই অভিযোগ করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপম ঘোষ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’